রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশালে আইনের কোন তোয়াক্কা চলছে না পতিতা পল্লিতে। পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার সিলগালা ও আটক করলেও তাতেও কর্ণপাত করছে না সেই র্যাবের হাতে আটক হওয়া মনির ওরফে পতিতা মনির। বরিশালের অভিযাত এলাকায় হোটেল ব্যবসার অন্তারালে চলছে তার পতিতা বানিজ্য।
অভিযোগ রয়েছে পতিতা বানিজ্যের পাশাপাশি বিশাল ইয়াবার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে সে। চলে মনিরকে অনুসন্ধান। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে থলের বিড়াল। তিনি বরিশাল নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের উকিল বাড়ি সড়কের বাসিন্দা।
আবার রয়েছে একটি সমজিদের সভাপতির পদেও। নিজেকে দেখলে মনে হবে তিনি কোন একটি বড় জায়গার পীর সাহেবের মুরিদ। কিন্তু তিনি তা কিছুই না।
নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা তার মূল পেশা। এক সময় বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন এলাকা থেকে মাছ বিক্রয় করতে বরিশালে আসা মনির এখন কোটি পতি বনে গেছেন বলেও জানা গেছে। এক সময় পতিতা নারীকে বিয়ে করেই তার ভাগ্যের চাকা খুলতে শুরু করে। পতিতা মনিরকে একাধিকার সংবাদ প্রকাশ হলে বরিশালের কালিজিরা এলাকা থেকে ইয়াবাসহ র্যাব আটক করে। বরিশালের সেই এলাকায় নিজের বিলাশ বহুলবাড়িতে চলে ইয়াবা আর পতিতার আশ্রয়স্থল।
গত বছরের প্রথম দিকে মনিরের হোটেলকে সিলগালা করে দেয় বরিশালের প্রশাসন। হোটেল গালিব সিলাগলা হওয়ার আবার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শুরু করে। এর পরে আবারো সিলগালা করা হয় হোটেল গালিবকে। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে সেই সিলগালাকৃত হোটেল আবারো খুলে পতিতা বানিজ্য করছে।
অভিযোগ রয়েছে কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি এসব পতিতা হোটেল থেকে মসোয়ারা উত্তোলন করে সবাইকে ম্যানেজ করছে। বিষয়টি নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে গনমাধ্যমকে জানান।
তবে মোস্তাফিজুর রহমানের জোরেই নাচছে মনির এমনটাই জানালেন হোটেলের একাধিক কর্মচারী। ভাগার টাকা অটোই চলে আসে তদন্ত ওসি আসাদুজ্জামানের পকেটে। তিনি কোন মতে ম্যানেজ কিন্তু কর্তাবাবুর টাকায় তো মাফ হবে না। তিনি হলেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান আমি তো এসব কিছুই জানি না। তবে এমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব। সকল অভিযোগ অস্বীকার করলেন তদন্ত ওসি আসাদ তিনি বলেন, আমার কাউকে কোন লাইসেন্স দেই নি। পতিতা পল্লিতে অভিযান চলমান রয়েছে। এইসব পতিতা পল্লি থেকে মসোয়ারা উত্তোলন হয় নগরগোয়েন্দা(ডিবি) পুলিশের নামেও।
তারা কয়েকদিন ধরপাকড় করে আবারো অদৃশ্য অর্থের দাপটে থেকে যায় তারা। অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু ডিবি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের দিকে। তারা মাসোয়ারা পেয়েই থেকে যায় অভিযানে।
এবিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয় পতিতা মনিরের সাথে কিন্তু তার সেল ফোন রিসিভ করেনি।( চলছে আরো অনুসন্ধান)
সুত্র দৈনিক বাংলাদেশ বাণী
Leave a Reply